কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় কম খরচে অধিক পুষ্টিকর একটি খাদ্য উপাদান হলো ডিম। গত ২ দশক ধরে বাংলাদেশের মানুষ খাদ্য তালিকায় হাঁস-মুরগির ডিমের পাশাপাশি কোয়েল পাখির ডিমকেও সাদরে আপন করে নিয়েছে। গ্রাম-গঞ্জ শহরে সর্বত্রই ছোটখাট মনোহারি দোকানে কোয়েল পাখির ডিম সহজে পাওয়া যায়। এই ডিম সাইজে ছোট হওয়ার কারণে দামেও কম। বর্তমান বাজারের একটি হাঁস অথবা মুরগির ডিমের দাম দিয়ে এক হালি কোয়েল পাখির ডিম কেনা যায়। হাঁস-মুরগির ডিমের তুলনায় কোয়েল পাখির ডিমে গন্ধ কম হয়- তাই সব বয়েসের মানুষ এই ডিম খেতে পছন্দ করে। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রবীণ বয়েসীরাও সহজেই একত্রে দুই তিনটি ডিম খেতে পারে।

কোয়েল পাখির ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, কার্বো-হাইড্রেড, চিনি, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, ফলেট, ভিটামিন- এ, বি, ই, ডি, বি-১২ ইত্যাদি বিদ্যমান। আজ আমরা কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।

১. কোয়েল পাখির ডিমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকায় এই ডিম খেলে শরীরে প্রাকৃতিক রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। রক্ত থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। এর ফলে মানবদেহ সহজেই সাধারণ রোগ-ব্যাধির হাত থেকে সুরক্ষিত থাকে।

২. কোয়েল পাখির ডিমে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকার কারণে নিয়মিত এই ডিম খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে। যাদের রক্তস্বল্পতা বা রক্তশূন্যতা রোগের ঝুঁকি রয়েছে তারা নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেলে সহজেই আরোগ্য লাভ করবেন।

৩. কোয়েল পাখির ডিমে বিদ্যমান থাকা ভিটামিন এ উপাদান দৃষ্টি শক্তির জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেলে দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ হয়।

৪. কোয়েল পাখির ডিমে পটাশিয়াম উপাদান প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে।

৫. কোয়েল পাখির ডিমে উপকারী কোলেস্টেরল রয়েছে। যা হৃদযন্ত্রের সুস্থতা ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। এভাবে কোয়েল পাখির ডিম হৃদরোগের জন্য উপকারী।

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
photo- wikipedia

৬. গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে কোয়েল পাখির ডিম। কোয়েল পাখির ডিমে বিদ্যমান থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পরিপাকতন্ত্রের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।

৭. কোয়েল পাখির ডিমে অ্যান্টি-এলার্জিক উপাদান রয়েছে। যা এন্টি-এলার্জিক প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।

৮. কোয়েল পাখির ডিমে নানান খনিজ উপাদানও বিদ্যমান। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো সেলেনিয়াম। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেলে ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়।

৯. চুল এবং ত্বকের জন্যও কোয়েল পাখির ডিম উপকারী। কোয়েল পাখির ডিমে থাকা ভিটামিন এ এবং ই চুল ও ত্বকের জন্য টনিক হিসেবে কাজ করে।

১০. ভিটামিন উপাদানগুলো এবং ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপাদান স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

সর্বোপরি মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী এই কোয়েল পাখির ডিম। কম দামে সহজলভ্য এই খাদ্য উপাদান গ্রহণের মাধ্যমে আমরা পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারি।

You cannot copy content of this page